একই পরিবার থেকে ক্রিকেটে অধিনায়ক হয়েছেন যারা
ছিলেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ওয়ানডে দলপতি। একটা লম্বা সময় ধরে নাফিসকেই ভাবা হচ্ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ। সময়ের স্রোতে নাফিস হারিয়ে গেলেও চাচা-বড় ভাইদের হাত ধরে জাতীয় দলে আসা তামিম নিজের জায়গাটি পাকা করেছেন। সবশেষ হয়েছেন জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক। জাতীয় দলকে এই প্রথমবার ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিতে যাওয়া তামিম ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিতই অধিনায়ক ছিলেন। ছিলেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ, বিপিএলের অধিনায়ক।
তামিমের চাচা আকরাম খানও ছিলেন জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক। বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবারের দুই সদস্য জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেলেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটে যা এই প্রথমবার। তবে, ২০১৬-১৭ মৌসুমে টেস্টে তামিম জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে একটি ম্যাচেই মাত্র অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পালন করেন তামিম, ম্যাচটি হেরেছিল বাংলাদেশ। আকরাম খান (১৯৯৫-৯৮) জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক ছিলেন। তার অধীনে বাংলাদেশ খেলেছে ১৫টি ওয়ানডে, যেখানে জিতেছিল ১টি ম্যাচ আর ১৪টি ম্যাচ হেরেছিল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে একই পরিবারের দুই সদস্যের অধিনায়কের দায়িত্ব সামলানোর ঘটনা নতুন হলেও ক্রিকেট ইতিহাস ঘাটলে আরও অনেক দেশে এমন কীর্তির দেখা মেলে। ভারতের ইফতিখার আলি খান পাতৌদি এবং তার ছেলে মনসুর আলি খান পাতৌদি টেস্টের অধিনায়ক ছিলেন। ভারতের গুরগাঁও জেলার শহর পাতৌদির অষ্টম নবাব ছিলেন ইফতিখার আলি খান পতৌদি। ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ডে লেখাপড়া করা সিনিয়র পাতৌদি ইংল্যান্ড ও ভারত উভয় দলেই খেলেছিলেন। ১৯৩২ সালে ইংল্যান্ডের হয়ে অভিষেক টেস্টে ১০২ রান করা ইফতিখার পাতৌদি ১৯৪৬ সালে ভারতের ইংল্যান্ড সফরে ভারতের জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।