মুমিনুল-শান্ত’র ব্যাটিং ঝড়ে রানের পাহাড় গড়লো বাংলাদেশ
প্রথম দিনের ২ উইকেটে করা ৩০৩ রানের সাথে দ্বিতীয় দিনে ৪ আরও ১৯৭ রান যোগ করে ইনিংস ঘোষণা করেছে বিসিবি একাদশ। ডাবল সেঞ্চুরির হাতছানি নিয়ে খেলতে নামা মুমিনুলের স্বপ্নভঙ্গ হয় ইনিংসের ১০০তম ওভারে। দর্শন নালকান্দের বলে অক্ষয় ওয়াদকারের হাতে ক্যাচ দিলে থামে তার ইনিংস। দলীয় ৩৩৯ রানে তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটে সফরকারীদের। আউটের আগে ১৬৯ রানের ইনিংসটি ২২ চার ও ১ ছক্কায় সাজান তিনি তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন ইয়াসির আলি রাব্বি। তবে বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি তিনি। ৫ বল মোকাবেলায় ২ চারে ৮ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন তিনিও। তাকেও ফেরান নালকান্দে। এর ফলে দলীয় ৩৪৭ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় বিসিবি একাদশ। এর কিছুক্ষণ পর একই পরিণতি হয় নুরুল হাসান সোহানের।
১০ বলে ২ রান করে আদিত্যর বলে লেগ-বিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি। মুহূর্তেই ৩৫৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে বিসিবি একাদশ। এমন পরিস্থিতিতে শান্ত’র সাথে ক্রিজে যোগ দেন আরিফুল। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ১২৬ রান যোগ করে বিপর্যয় সামাল দেন এ দু’জন। একইসাথে নিশ্চিত করেন দলের বড় সংগ্রহ দাঁড় করানোর পথ গড়ার। শান্ত ১৪ চার ও ২ ছক্কায় ব্যক্তিগত ১১৮ রানে নালকান্দের বলে আউট হলে ভাঙ্গে এ জুটি। শান্ত’র আউটের পর বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি আরিফুল। সমান ৫ চার ও ছক্কায় ৭৭ রান করা এ ব্যাটসম্যানকে আউট করেন গুরবানি। তার ফিরে যাওয়ার পর স্কোরবোর্ডে ৫০০ রান যোগ হতেই ইনিংস ঘোষণা করে চা পানের বিরতিতে যায় সফরকারীরা। প্রতিপক্ষ শিবিরের বোলারদের মধ্যে ৭৯ রান খরচায় নালকান্দে লাভ করেন সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড- দ্বিতীয় দিন বিসিবি একাদশ: প্রথম ইনিংসে ১৪৮ ওভারে ৫০০/৭ ডিক্লেয়ার্ড। জহুরুল ৯৬ (২০২), সাইফ ১৯ (৫০), মুমিনুল ১৬৯ (২৪৩), শান্ত ১১৮ (২৪৩), ইয়াসির ৮ (৫), সোহান ২(১০), আরিফুল ৭৭(১৪২), নাঈম ১* (১২), তাইজুল ২* (৭) ; নালকান্দে ২৩-২-৭৯-৪।