ফাইনালে যেতে আজ যখন মাঠে নামছে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া
১৪ জুলাই লর্ডসে নিউজিল্যান্ডের প্রতিপক্ষ হওয়ার এ লড়াইয়ে কথার লড়াই শুরু হয়ে গেছে সেমির লাইনআপের পরপরই। কূটনৈতিক পরিভাষার ধার না ধেরে বেন স্টোকস সাফ বলেছেন, 'দেশের ইতিহাসে, আমার ক্যারিয়ারের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ।'
ওদিকে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চও নরম সুরে কথা বলতে বলতে এক পর্যায়ে গলা চড়িয়ে ফেলেছেন গতকাল, 'এজবাস্টনে আমরা ২৬ বছর জিতিনি ঠিকই, কিন্তু ইতিহাস লেখা হয় তো ভাঙার জন্যই। এবার ভাঙবে।' এ দু'জনের আগে লড়াইয়ের ঝাঁজ বাড়িয়েছেন নাথান লায়ন, জো রুট, লিয়াম প্লাংকেট, পিটার হ্যান্ডসকম্বরাও।
রাউন্ড রবিন পদ্ধতির কারণে লীগ পর্বে এবারের আসরে এরই মধ্যে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার এক দফা দেখা দেখা হয়ে গেছে। ২৫ জুন লর্ডসের সেই ম্যাচে ৬৫ রানে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। বিস্ম্ফোরক ব্যাটসম্যানে ভরপুর ইংলিশ ব্যাটিং লাইনআপে সেদিন ঝড় তুলেছিলেন মিচেল স্টার্ক, জেসন বেহরনড্রপরা। দুই সপ্তাহ পরের দ্বিতীয় লড়াইয়ে স্টার্ক, বেহরনড্রপরা টিকে থাকলেও একাদশে আসছে একাধিক বদল। চোটের কারণে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়া উসমান খাজার পরিবর্তে অভিষেক করানো হচ্ছে ডানহাতি ব্যাটসম্যান পিটার হ্যান্ডসকম্বকে। আর ব্যাটে-বলে অফফর্মে থাকা গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের জায়গায় নেওয়া হতে পারে ম্যাথু ওয়েডকে। এ ছাড়া চার নম্বর পজিশন থেকে তিনে উঠে আসছেন স্মিথ। ওপেনিংয়ে যথারীতি ওয়ার্নার-ফিঞ্চই থাকছেন।
এদিকে বলা হচ্ছে ইংল্যান্ডের এবারের দলটি তাদের ইতিহাসের সেরা দল, আইসিসি র্যাংকিংও বলছে তেমনটাই। এখন পর্যন্ত হওয়া ১১ বিশ্বকাপের তিনটিতে ফাইনাল খেললেও শিরোপা ছুঁয়ে দেখা হয়নি ইংল্যান্ডের।
তুলনায় ইংল্যান্ডের একাদশে বদলের সম্ভাবনা কম। ওপেনিংয়ে জনি বেয়ারস্টো-জেসন রয়কে দিয়ে শুরু, এরপর জো রুট, ইয়ন মরগান হয়ে জশ বাটলার, স্টোকসরা। শিরোপার প্রধান দাবিদার হিসেবে টুর্নামেন্ট শুরু করলেও লর্ডসে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে গন্তব্য অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল মরগ্যানদের। লীগ পর্বের শেষ দুটি ম্যাচ খেলতে হয়েছে 'মাস্ট উইন' হিসেবে। ভারত আর নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে পরে শেষ চার নিশ্চিত করে ইয়ান মরগ্যানের দল।