উপহারটা পেয়ে শাবানা কি যে খুশি হয়েছিল
শুধু শাবানার কথাই বলবো না। ওর স্বামী সাদিকও (ওয়াহিদ সাদিক) বেশ ভালো মানুষ। সাদিকও আমার বন্ধু।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি যখন জয় পেলাম, ওইদিনই শাবানা আমেরিকা থেকে ফোন করে আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে। সিনেমার আর কোনো নায়িকা ওদিন আমাকে শুভেচ্ছা জানায়নি। ওইদিন ওর সঙ্গে অনেক কথা হয়েছে।
এবার যখন আজীবন সম্মাননা (জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৫) নেওয়ার অনুষ্ঠানে শাবানা বাংলা সিনেমা নিয়ে কথা বলছিলেন, ওর মুখে কথাগুলো শুনে আমার খুব ভালো লাগছিল। এত বছর পরও বাংলা সিনেমার প্রতি ওর এমন ভালোবাসা দেখে সত্যি আমি মুগ্ধ হয়েছি। শাবানার গুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না।
একটি স্মৃতি কথা বলি, বহু বছর আগের কথা। আমরা তখন সিনেমার কাজ নিয়ে ব্যস্ত। একদিন শাবানা আমাকে বলছিল, ‘কেউ কোনো দিন গিফট দিলো না।’ এর কিছুক্ষণ পর আমি ওকে একটা গিফট দিলাম। উপহার পেয়ে শাবানা কি যে খুশি হয়েছিল সেদিন, বলে বোঝানো যাবে না। যদিও সেটি খুব দামি কিছু ছিল না। তারপরও গিফট তো গিফটই। সেই পুরনো কথা আজও ওর স্মরণে আছে। কিছুদিন আগে, সেই গিফটের কথা বলে ও হাসাহাসি করছিল। যাই হোক, আজ শাবানার জন্মদিন। ওর জন্মদিনে আমার শুভেচ্ছা রইলো। দোয়া করি, শাবানার দীর্ঘায়ু হোক এবং ভালো থাকুক।