বিশ্বকাপ শুরুর আগেই বাংলাদেশকে ‘ছোট’ করল ইংলিশ মিডিয়া
কোনো বড় টুর্নামেন্টের আগে ইংলিশ মিডিয়ার এমন প্রেডিকশন নতুন কিছু নয়। তবে তাদের যুক্তিও অনেক ক্ষেত্রে হাস্যকর হয়।
যেমন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে ভাঙাচোরা দল শ্রীলঙ্কা। দলটিতে অন্তর্দন্দ্বও আছে। ছিয়ানব্বইয়ের বিশ্বকাপজয়ী দলটিকে কেবল অভিজ্ঞ লাসিথ মালিঙ্গার কারণে রেটিং দেয়া হয়েছে ৫০/১। সদ্য বাংলাদেশের কাছে হেরে গেলেও উইন্ডিজ রেটিং পেয়েছে ১৮/১। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে দলে গেইল-রাসেলের প্রত্যাবর্তনের কথা।
বিশ্বকাপে এর আগে বাংলাদেশের সঙ্গে একবার দেখা হয়েছিল পাকিস্তানের। ১৯৯৯ সালের সেই বিশ্বকাপে ভয়ংকর পাকিস্তানকে হারিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। এবারও পাকিস্তানের অবস্থা সুবিধার নয়। ঘরের মাঠ আর ইংল্যান্ডের মাটিতে সর্বশেষ দুটি ওয়ানডে সিরিজেই তারা করুণভাবে হেরেছে। তারপরেও তাদের রেটিং ১৪/১। দুই ও তিনে আছে যথাক্রমে ভারত (৩/১) এবং অস্ট্রেলিয়া (৪/১)। নিউজিল্যান্ড আর দক্ষিণ আফ্রিকার রেটিং ১০/১ করে। আর ১০০/১ রেটিং নিয়ে শেষের দুই স্থানে আছে বাংলাদেশ আর আফগানিস্তান।
বাংলাদেশকে নিয়ে ইন্ডিপেন্ডেন্ট বলেছে, ‘বাংলাদেশ দলে মাশরাফির নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ। এ দলে সাকিব আল হাসান, মুস্তাফিজুর রহমানের মতো তারকা ক্রিকেটার আছে। কিন্তু দলটিতে কোনো বিগ হিটার নেই, যারা অল্প সময়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। এছাড়া দলটি ৩০০+ স্কোর চেজ করতে অস্বস্তিবোধ করে। কিন্তু এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন স্কোর হরহামেশাই হচ্ছে। তারা টুর্নামেন্টে একটা আপসেটের জন্ম দিতে পারে। তবে মাশরাফি যে সেমিফাইনালে খেলার লক্ষ্যের কথা বলেছেন, তা অলীক কল্পনা।’
টেলিগ্রাফ বাংলাদেশকে শ্রীলঙ্কা আর উইন্ডিজের পেছনে রাখার কারণ ব্যখ্যা করেছে এভাবে, ‘সাম্প্রতিক সময় শ্রীলঙ্কা এবং উইন্ডিজকে ওয়ানডেতে হারিয়েছে বাংলাদেশ। তাদের আছে বিশ্বমানের পেস প্রতিভা মুস্তাফিজুর রহমান; যিনি ২০১৬ সালে আইসিসির ইমার্জিং ক্রিকেটার হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন। ওয়ানডেতে তার অর্ধশতাধিক (আসলে ৮৩টি) উইকেট রয়েছে এবং এই টুর্নামেন্টে সে দারুণ কিছু করতে পারে। কিন্তু সেমিফাইনালে যাওয়ার মতো শক্তি এই দলটির নেই।’