বিশ্বকাপের ‘সৎ ছেলে’ স্পিনার নাকি পেসার
আর টার্ন ছাড়া স্পিনাররা রীতিমতো ভোতা! উইকেট বিবেচনায় এবারের বিশ্বকাপে স্পিনারদের মনে করা হচ্ছে ‘সৎ ছেলে’। কিন্তু বিশ্বকাপের কন্ডিশন আসলেই কী অমন ব্যবহার করবে স্পিনারদের সঙ্গে? বর্তমান অবস্থা কিন্তু তেমনটা বলছে না।
বিশ্বকাপকে সামনে রেখে সিরিজ খেললো বাংলাদেশ, পাকিস্তান, উইন্ডিজ, ইংল্যান্ড, আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড। প্রতিটি সিরিজের উইকেটই বানানো হয়েছিল বিশ্বকাপের উইকেটের মতো করে। বাংলাদেশ, উইন্ডিজ সিরিজ খেলল আয়ারল্যান্ডের মাটিতে। যেখানকার কন্ডিশন অনেকটা ইংল্যান্ডের মতোই।
পাকিস্তান-ইংল্যান্ডের সিরিজ হয়েছে ইংল্যান্ডেই। অস্ট্রেলিয়া খেলেছে নিউজিল্যান্ডে। নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনও বিশ্বকাপের ভেন্যু ইংল্যান্ডের মতো। আফগানিস্তান এখন খেলছে আয়ারল্যান্ডের মাটিতে। আশ্চর্য, এই সিরিজগুলোর প্রতিটিতেই দুর্দান্ত পারফর্ম দেখিয়েছেন স্পিনাররা।
আয়ারল্যান্ডের ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। দুজনই ওভারপ্রতি সাড়ে চারের কম রান খরচ করেছেন। ক্যারিবীয়ান স্পিনার অ্যাশলে নার্স টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীই হয়েছেন।
ইংল্যান্ড-পাকিস্তান সিরিজে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন ইমাদ ওয়াসিম। ওভারপ্রতি ছয়ের কিছু বেশি করে রান দিয়ে সিরিজের তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হয়েছেন ইমাদ। ইংল্যান্ডের আদিল রশিদ, মঈন আলী, পাকিস্তানের শোয়েব মালিকরাও দারুণ বোলিং করেছেন ওই ম্যাচে।
আয়ারল্যান্ড-আফগানিস্তান সিরিজের প্রথম ম্যাচে কাল তো রীতমতো স্পিন বিষই ঢাললেন রশিদ খান, মুজিব-উর রহমানরা। বিশ্বকাপের মতো কন্ডিশনে অনুষ্ঠিত হওয়া এই সিরিজগুলোতে বরং তারকা পেসাররাই প্রত্যাশিত পারফর্ম করতে পারেননি। উইকেট পেলেও রান দিয়েছেন দু’হাত ভরে। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপে শুধুই পেসারদের কর্তিত্ব খাটানোর চিন্তা থেকে হয়তো সরে আসা দরকার!