সৌদি আরবের হামলায় ইয়েমেনে কয়েক হাজার মসজিদ ধ্বংস’
ইরানের রাজধানী তেহরানে ২৭তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রদর্শনীতে অংশ নিয়ে আনসারুল্লাহ আন্দোলনের পররাষ্ট্র বিষয়ক কর্মকর্তা আদনান ক্বাফলা এসব কথা বলেন। ইরানের ইয়ং জার্নালিস্ট ক্লাবের ওয়েবসাইটের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
সৌদি জোটের চালানো এসব হামলাকে ইতিহাসের সবচেয়ে নিকৃষ্ট অপরাধ আখ্যায়িত করে আদনান ক্বাফলা বলেন, সৌদির হামলায় ধ্বংস হওয়া অনেক মসজিদ বিভিন্ন সাহাবা ও ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগণ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইয়েমেন মানবিক দুর্যোগের শিকার হয়ে দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা কঠিন আকার ধারণ করছে।
দি ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটির (আইআরসি) করা দুর্যোগপূর্ণ দেশগুলোর তালিকার শীর্ষে রয়েছে কয়েক বছর ধরে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেন।
ইয়েমেনের ব্যাপারে আইআরসির রিপোর্টে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট আব্দে রাব্বি মানসুর হাদির পক্ষে সৌদি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতৃত্বাধীন বাহিনীর হামলায় দেশটি ধ্বংসের শেষপ্রান্তে পৌঁছে গেছে।
গত বছরের শেষদিকে জাতিসংঘ সতর্ক করে জানায়, দেশটি মারাত্মক দুর্ভিক্ষের মুখে পড়তে যাচ্ছে। বর্তমানে ইয়েমেনের দুই কোটি ৪০ লাখ লোকের জন্য মানবিক সহায়তার প্রয়োজন। গত বছর সেখানে কলেরা মহামারী দেখা দিলে ১০ লক্ষাধিক লোক এতে আক্রান্ত হয়।
২০১৫ সালে সৌদি জোটের আগ্রাসনের পর থেকে প্রায় দুই কোটি শিশুর স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। এসব শিশুর অধিকাংশই কেউ শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে, কেউ ভিক্ষা করছে।
সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে চলা সংঘাতে ইয়েমেনের অসংখ্য স্থাপনা, হাসপাতাল, স্কুল এবং কারখানা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়া দেশটির ৮৪ লাখ মানুষ চরম দারিদ্র ঝুঁকিতে রয়েছে।