| ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পবিত্র আল-কুরআনে প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রসঙ্গে

২০১৯ মে ০৪ ১১:৩০:২২
পবিত্র আল-কুরআনে প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রসঙ্গে

বিজ্ঞান এ প্রশ্নের জবাবে নীরব। জ্ঞান অর্জনের আর সকল সূত্রই এ পর্যায়ে অকেজো। কিন্তু মহাগ্রন্থ আল-কুরআন এ সম্পর্কে নীরব নয়। যেহেতু কুরআন আল্লাহ পাকের সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানী কিতাব, যেহেতু এ মহান গ্রন্থ সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযরত রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে, যেহেতু পবিত্র কুরআনই সর্বকালীন মানুষের মুক্তির চিরস্থায়ী মহাসনদ, তাই পবিত্র কুরআনেই রয়েছে এ প্রশ্নের জবাব।

পবিত্র কুরআন আমাদের সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয় কেন আসে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ভয়াবহ বন্যা, ভূমিকম্প, ঘূর্ণিঝড় প্রভৃতি। কেন বারবার নেমে আসে ধ্বংস মানুষের জীবনে। এ পর্যায়ে আল-কুরআনে সর্বপ্রথম যে নীতি নির্ধারণীর কথা বলেছে তা এই, ‘‘এবং (হে রাসূল।) আপনার প্রতিপালক সে পর্যন্ত কোনো লোকালয় ধ্বংস করেন না যে পর্যন্ত না তার সদর স্থানে কোনো রাসূল প্রেরণ করেন। যে সেই জনপদবাসীর নিকট আমার আয়াতসমূহ পাঠ করে, আর যেসব জনপদের অধিবাসীরা অত্যাচারী, আমি শুধু তাদেরই ধ্বংস করি।’’ এতে এ কথাই প্রমাণিত হচ্ছে যে, যদি কোনো স্থানের মানুষ জুলুম-অত্যাচার, অন্যায়-অবিচারে লিপ্ত হয়, তাদের প্রতিই আপতিত হয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বন্যা, ভূমিকম্প, ঘূর্ণিঝড় প্রভৃতি ধ্বংস নেমে আসে। আল-কুরআনে এসব বিষয়ে আল্লাহর তরফ থেকে বারবার সতর্কবাণী উচ্চারণ করা হয়েছে কিন্তু কুরআন খুলে দেখার লোক নেই, সতর্ক হতেও কেউ রাজি নেই।

মূলত পৃথিবীর ইতিহাসে রয়েছে এর বহু প্রমাণ যে, আল্লাহ তায়ালার নাফরমান জাতিগুলোকে তিনি জগতের বুকে অশান্তি সৃষ্টি করার শাস্তিস্বরূপ ধ্বংস করে দিয়েছেন চিরতরে। পবিত্র কুরআনে পূর্বের ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতিসমূহের ঘটনাবলী বর্ণনা করেছেন, যেন অনাগত ভবিষ্যতের মানুষ এ ঘটনাবলীর দ্বারা উপদেশ গ্রহণ করে। যারা তাদের অন্যায় আচরণের দরুন আল্লাহ কোপগ্রস্ত হয়েছে আগামী দিনের মানুষ যেন তাদের অনুসরণ করে এমনিভাবে বিপদগ্রস্ত না হয়।

পবিত্র কুরআনে আল্লাহ ইরশাদ করেছেন : ‘‘তারা কি দেখে না যে তারা প্রতিবছর একবার অথবা দু'বার বিপদগ্রস্ত হয়, অতঃপর তারা তওবা করে না এবং উপদেশও গ্রহণ করে না।’’ [তওবা ঃ ১২৬] এতে এ কথাই প্রমাণিত হয় যে, প্রত্যেক বছর দেশে যে বন্যা, মহামারি, ঝড়, তুফান, টর্নেডো এবং এমনি আরো বিপদাপদ আসে এ সমস্ত বিপদ দেয়ার উদ্দেশ্য হলো আমাদেরকে পবিত্র করে তোলা। আমাদেরকে তওবা করার সুযোগ দেয়া। মোট কথা, এর পশ্চাতেও রয়েছে এক মহান উদ্দেশ্য, তা হলো, আমাদের সংশোধন। এতে রয়েছে আমাদের জন্য সতর্ক সংকেত আর এ দুর্যোগ প্রকৃতির খেয়াল-খুশিমতো নয়, বরং আল্লাহর আদেশ অনুযায়ী আসে। তাই পবিত্র কুরআনে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেছেন : ‘‘আল্লাহ তায়ালার হুকুম ব্যতীত কোনো বিপদই আসে না। (অর্থাৎ সকল বালা-মুসিবত বিপদাপদ একমাত্র সেই সর্বশক্তিমান আল্লাহতায়ালার আদেশানুযায়ী এসে থাকে) এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছে সে তার অন্তরকে পথ প্রদর্শন করে, আর আল্লাহ সব বিষয়ে মহাজ্ঞানী। [তাগাবুন ঃ ১১]

আল্লাহ পবিত্র কুরআনে আরও ইরশাদ করেন ঃ ‘‘মানুষের কর্মের পরিণতিস্বরূপ স্থলে ও সমুদ্রে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে, যাতে করে মানুষ ফিরে আসে, আল্লাহ তাদেরকে তাদের কৃতকর্মের কিছুটা স্বাদ ভোগ করাতে চান।’’ [রুম ঃ ৪১] অর্থাৎ মানুষের অন্যায় আচরণের কারণে আল্লাহর অবাধ্যতা এবং নাফরমানির দরুনই আজ পৃথিবীর সর্বত্র অশান্তি বিরাজ করছে এবং চতুর্দিকে বিপদের ঘনঘটা দেখা দিয়েছে। বস্তুত আমাদের জন্য এ বিপদও কল্যাণকর হতে পারে যদি আমরা এর দ্বারা উপদেশ গ্রহণ করি এবং আমাদের অবস্থার পরিবর্তন করি। শুধু এভাবেই আমরা পরকালের আজাব থেকে পরিত্রাণ লাভ করতে পারি। আর আল্লাহও চান যেন আমরা ইহকাল ও পরকালের আজাব থেকে মুক্তি লাভ করি।

আল্লাহ ইরশাদ করেন : ‘‘যদি তোমরা সৎ কাজ কর তবে তা তোমাদেরই উপকারার্থে, এর ফল তোমরাই ভোগ করবে। পক্ষান্তরে যদি তোমরা অন্যায় কার্যে লিপ্ত হও তবে তার শাস্তিও তোমাদেরকেই ভোগ করতে হবে।’’ [বনি ইসরাইল ঃ ৭]

অতএব যখনই পৃথিবীতে ঝড়-তুফান, ঘূর্ণিবার্তা, বন্যা এবং এ ধরনের বিপদ আসে, তখনই পরকালের মুক্তিকামী মানুষ সাবধান হয়, অন্যায় পথ পরিত্যাগ করে ন্যায়পথের অনুগামী হয। অন্যায়-অনাচার, জুলুম-অত্যাচার, পাপ-পংকিলতায় পূর্ণ জীবন, আল্লাহর নাফরমানি ও অবাধ্যতা এবং নির্লজ্জতা, অশ্লীলতার প্রতিক্রিয়া হিসেবে নেমে আসে আসমানী-যমিনী বালা-মুসিবত, ভয়াবহ ঝড়-তুফান, টর্নেডো এবং বন্যা দেখা দেয় দুর্ভিক্ষের কালো ছায়া অগ্নিকান্ড মহামারি, ভূমিকম্প আর ধ্বংস। তখন সর্বাগ্রে আমাদের একান্ত কর্তব্য হলো, তওবা এস্তেগফারের পথ অন্বেষণ করা, কৃত অন্যায়ের জন্য আল্লাহর নিকট অনুতপ্ত হওয়া এবং ভবিষ্যতে অন্যায়-অনাচারে লিপ্ত না হওয়ার দৃঢ় অঙ্গীকার করা, আল্লাহর দরবারে অনুতপ্ত চিত্তে অশ্রুপাত আমাদের পাপ মোচনের জন্য সহায়ক হতে পারে।

ক্রিকেট

কোহলি-গম্ভীর পুরাণ দ্বৈরথ! কেকেআর ও আরসিবির হাইভোল্টেজ ম্যাচ

কোহলি-গম্ভীর পুরাণ দ্বৈরথ! কেকেআর ও আরসিবির হাইভোল্টেজ ম্যাচ

আইপিএলে সন্ধ্যায় মুখোমুখি হবে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। কিন্তু অনেকের কাছে, বিরাট ...

টাইগারদের গুরু হাথুরুসিংহেকে বিশ্বের সেরা কোচ বললেন যিনি!

টাইগারদের গুরু হাথুরুসিংহেকে বিশ্বের সেরা কোচ বললেন যিনি!

বাংলাদেশের মাটিতে তিন ফরম্যাটেই পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলছে শ্রীলঙ্কা। দুই দলের আর মাত্র একটি টেস্ট বাকি। ...

ফুটবল

অবশেষে নিজের অবসরের সময় জানিয়ে দিলেন মেসি

অবশেষে নিজের অবসরের সময় জানিয়ে দিলেন মেসি

লিওনেল মেসি সর্বকালের সেরা ফুটবলার। তার বয়স এখন প্রায় ৩৭ বছর। অনেকেই তার অবসরের কথা ...

র‍্যাকিংয়ে ৫৪ নম্বর দলকে হারিয়ে যা বললেন আর্জেন্টিনার কোচ

র‍্যাকিংয়ে ৫৪ নম্বর দলকে হারিয়ে যা বললেন আর্জেন্টিনার কোচ

দুই জয়ের মাধ্যমে কোপা আমেরিকার জন্য ড্রেস রিহার্সেল শেষ করল বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। কোপা আমেরিকায় ...



রে